উম্পুনের তাণ্ডবে শুধু ক্যানিং ১ ব্লকেই ভেঙেছে মাতলার প্রায় ৯ কিলোমিটার বাঁধ। তবে ঝড়ের পর সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতির কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। ক্যানিংয়ে প্রায় ৯ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। মেরামতির কাজ চালাচ্ছে সেচ দফতর ও একশো দিনের কাজের শ্রমিকরা। বাঁধ পুনর্নির্মাণের কাজ হচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, “এবার অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে এই নদীবাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। নাইলনের জালের মধ্যে ২৫টা করে বালির বস্তা ভরে তা দিয়ে বাঁধের ভাঙা জায়গাকে ভরাট করা হচ্ছে। তারপর তার দুপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এরপর নদীর দিকে এক মিটার দূরে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে তার ওপর দরমা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে”।
ছোটখাট ভাঙনগুলির ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে একশো দিনের শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এই কয়েকদিনেই বড় ভাঙনের কাজের প্রায় ৪০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে বলে খবর। বাকিটা আর দু সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রশাসনের। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক ও প্রাক্তন সেচমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল জানান, ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বুধোখালি চ্যাটার্জি হাট মধুখালিতে প্রায় ৪ কিলোমিটার নদীবাঁধ এবং ওই পঞ্চায়েতেরই দক্ষিণ রেঁদোখালি খাসের ভেড়িতে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার নদীবাঁধ ভেঙে গেছে। ওই জায়গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে”।
ঝড়ের পরেই সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে পর পর ৩ দিন এলাকা পরিদর্শন করা হয়। দ্রুত নদীবাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা হয়। এই দুটি বড় ভাঙন ছাড়াও বেশ কয়েকটি জায়গায় ৫ থেকে ১০ ফুট করে ছোটখাট ভাঙন হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯ কিলোমিটার ভাঙন মেরামতির কাজ চলছে ক্যানিংয়ে।