করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবার কবে থেকে অনুশীলন শুরু হবে, তা নিয়ে রবিবারই আলোচনায় বসেছিলেন বাংলার অনেক ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পের কোচেরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুললে যে ক্রীড়া প্রশিক্ষণ পুরোপুরি শুরু করা যাবে না, তাও স্পষ্ট। যদিও কিছু কিছু কোচিং ক্যাম্পে একেবারেই প্রাথমিক স্তরে ট্রেনিং শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে। এর মধ্যেই রবিবার রাতে সিএবি জানিয়ে দেয়, মেডিক্যাল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনায় ঠিক হয়েছে, ক্রিকেট ফেরানোর জন্য কোনও তাড়াহুড়ো করা যাবে না। যদিও রবিবারের এই বৈঠক কখন হয়েছে তা কিন্তু সিএবি-র অনেক শীর্ষস্থানীয় কর্তাই বলতে পারলেন না।
লক্ষ্মীরতন শুক্লর অবৈতনিক অ্যাকাডেমিতে গত ৩ জুন থেকেই ছোট ছোট দলে ভাগ করে ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে এক দিনে ১৫ জনের বেশি ক্রিকেটারকে অনুশীলনও করতে দেওয়া হচ্ছে না। জুলাইয়ের আগে শুরু হবে না নেট প্র্যাক্টিস। কারণ, কেউ থুতু দিয়ে বল পালিশ করে অন্যের হাতে দিলে, তা পর্যবেক্ষণ করাও কঠিন। ১৫ বছরের কম বয়সি ক্রিকেটারদের আসার অনুমতিও দেওয়া হয়নি লক্ষ্মীর অ্যাকাডেমিতে। সিএবি-র তরফে যদিও কোচিং ক্যাম্পগুলোর জন্য কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
সিএবি-র বার্তা আসার আগেই সম্বরণ ক্রিকেট অ্যাকাডেমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ১৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া যে ক্রিকেটারেরা বাংলার হয়ে খেলছেন অথবা খেলার সম্ভাবনা রয়েছে, শুধু তাঁদের নিয়েই ১৭ জুন থেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি মেনে অল্পবিস্তর ট্রেনিং শুরু হবে। তবে বাংলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, ‘স্কুলগুলো সম্পূর্ণ খোলার পরেই অ্যাকাডেমিতে পুরোদস্তুর ট্রেনিং শুরু করার কথা ভাবব।’
তবে প্রশ্ন উঠছে সিএবি কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে।এখনও সম্পূর্ণভাবে লকডাউন ওঠেনি। কিন্তু তার আগেই কেন কর্মকর্তারা সিএবি-তে জড়ো হয়ে মুখোমুখি বৈঠক করে ফেসবুক সেই ছবি দিচ্ছেন, সেই প্রশ্নও কেউ কেউ করছেন। সারা বিশ্বে যখন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই বড় বড় সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তখন সিএবি কর্তাদের জরুরি কী এমন কাজের জন্য ইডেনের ক্লাব হাউজে বসতে হল, সেই নিয়ে নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে।