লকডাউনের পরিস্থিতিতে মহা সংকটে মাদুর শিল্পের আঁতুড়ঘর। সবংয়ের অর্থনীতি বেঁচে রয়েছে মাদুর শিল্পের উপরে। প্রতি মাসে গড়ে ২০ কোটি টাকার লেনদেন হয় মাদুর থেকে। লকডাউন এবং করোনাভাইরাসের আতঙ্কে প্রায় আড়াই মাস সবাই গৃহবন্দি। বাইরে কোথাও মাদুর বিক্রি করতে যেতে পারছেন না কেউ-ই। দোকানবাজার খুললেও মাদুরের বাজার এখনও খোলেনি। ফলে গভীর সঙ্কটের মুখে পড়েছে এই শিল্প।
সবংয়ের মাদুর শিল্পী অখিল জানা বলেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতিতে মাদুর শিল্পের অবস্থা খুবই খারাপ। কবে যে বাজার স্বাভাবিক হবে, জানি না। প্রত্যেকের বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ মাদুর তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। কোথায়, কবে বিক্রি হবে তাও জানা নেই আমাদের।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ৮৫ জন কারিগর কাজ করতেন। এখন আর তাঁদের কাজ দিতে পারছি না। প্রচুর মাদুর ও মাদুরের সামগ্রী ঘরে মজুত হয়ে পড়ে রয়েছে। বিক্রির কোনও ব্যবস্থা নেই।’
একই কথা শিল্পী অশোক জানা, প্রমীলা মান্নাদের। তাঁরা বলেন, ‘মাদুর শিল্পীদের জন্য সরকারের কোন ভাবনা নেই।’ শিল্পী কিঙ্কর দাস বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে চাষের ক্ষতি হলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেন চাষিদের। উম্পুন ঝড়ে মাদুর কাঠি চাষেরও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তার জন্য যে সরকরি সাহায্যের দরকার, সেই কথাটা আজও আমরা বোঝাতে পারিনি জনপ্রতিনিধিদের।’
সবংয়ের ভূমিপুত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘খুবই খারাপ অবস্থা মাদুর শিল্পের। মাদুরের বাজার খোলেনি। এখানকার বিধায়ক এবং আমি, বিডিও, জেলাশাসক ও রাজ্য সরকারের সচিবের কাছে আবেদন করেছি মাদুর শিল্পীদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘মাদুরের উপর সবংয়ের অর্থনীতি নির্ভর করে। তাই মাদুরের বাজার বন্ধ থাকলে খুবই সমস্যা।’