চলে গিয়েছে ফার্স্ট ফ্ল্যাশের মরশুম অর্থাৎ চা গাছে প্রথম কচি পাতা আসার সময়। বিশ্ব ব্যাপী যে চায়ের পাতার ব্যাপক চাহিদা। বিশেষ করে দার্জিলিংয়ের ফার্স্ট ফ্ল্যাশ টি-র। তবে লকডাউনের জেরে বাগানেই পড়েছিল সেই কচি পাতা। এবার গুরুত্বপূর্ণ সেকেন্ড ফ্ল্যাশের চা পাতা তোলার পালা। তার ঠিক আগেই বাগানে ১০০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। যার ফলে সবরকমের সতর্কতা অবলম্বন করে সোমবার থেকেই পূর্ণশক্তি নিয়ে কাজ শুরু করে দিল বাংলার চা বাগানগুলো। সেখানে প্রায় ১০০ শতাংশ কর্মীই উপস্থিতি ছিলেন বলে জানিয়েছেন টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার কিছুদিন পরে কর্মী সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ জুন থেকে সমস্ত কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়ায় সোমবার থেকে যেন আগের ছন্দে ফিরল চা শিল্প। টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি রাজ বনসাল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘বাংলায় চা বাগানগুলোতে প্রায় ১০০ শতাংশ কর্মীদের উপস্থিতি ছিল। সব কর্মীদের উপস্থিতি ভালো লক্ষ্মণ।’ রাজ্যের বিখ্যাত মাকাইবাড়ি এস্টেটের মালিক লক্ষ্মী টি-এর প্রধান রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন যে, সোমবার থেকে তাঁর সংস্থার কর্মীরাও সকলেই কাজে লেগে পড়েছেন।
টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি বনসাল মনে করেন, পূর্ণ শক্তি নিয়ে চা শিল্পের কাজ শুরু করার অত্যন্ত দরকার ছিল। রাজ্যের চা বাগানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে একেবারে ঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তিনি একথাও বলেন যে, করোনা পরিস্থিতিতে চা বাগানগুলোতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করা হচ্ছে। তবে চা কর্মীদের ক্ষেত্রে এটা ভাল ভাবেই মেনে কাজ করা হচ্ছে। তবে টানা লকডাউনের কারণে যতদিন রাজ্যের চা বাগানগুলোর কাজ বন্ধ ছিল ততদিন প্রচুর ক্ষতি হয়েছে একথাও জানিয়েছেন তিনি। টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতির আশঙ্কা, দীর্ঘদিন চা শিল্পে উৎপাদন বন্ধ থাকার জেরে চলতি বছরের চা উৎপাদনে বড়সড় ঘাটতি দেখা যেতে পারে।