করোনা সংক্রমণ রোধ করতে দেশজুড়ে চলছে একটানা লকডাউন। আর এর জেরেই বন্ধ স্কুল। তবে এই পরিস্থিতিতে ক্লাস করতে হবে অনলাইনে। কিন্তু বাড়িতে না আছে টিভি, না আছে স্মার্টফোন। অগত্যা কোনও উপায় না পেয়ে আত্মঘাতী কেরালার মলপ্পুরম জেলার ভেলেঞ্চেরি শহরের ছাত্রী দেবিকা বালাকৃষ্ণন।
১৪ বছরের দেবিকা নবম শ্রেণীতে পাঠরত ছিল। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় জারি হওয়া লকডাউনের জেরে টিভি বা স্মার্টফোনে পড়াশোনা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কেরালা সরকার। তাতেই বিপাকে পড়ে সে। বাবা অসুস্থ, কোনও রোজগার নেই। তাই বারবার বলেও সারনো হয়নি ঘরের টিভি। পড়াশোনা না চালাতে পারায় মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল দেবিকা। হঠাৎই সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে হদিশ মিলছিল না তাঁর। কিছুক্ষণ পরে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে খোঁজ মেলে মেয়েটির আগুনে ঝলসানো দেহ। পাশে কেরোসিনের বোতল, আর চিরকুটে লেখা ‘আমি চলে যাচ্ছি।’
অনলাইন ক্লাসে যোগদান করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে সে। এমনটাই প্রাথমিক অনুমান প্রতিবেশীদের। কাতর ব্যর্থতার কথা ফুটে উঠেছে তাঁর বাবার কন্ঠে। তিনি বলেছেন, ‘সে বারবার বলেছিল টিভি সারাতে। আমার না আছে টিভি সারানোর মতো টাকা, না আছে স্মার্টফোন কেনার টাকা।’