করোনা প্রসঙ্গে আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়ে দিন দিন উত্তেজনা বাড়ছে। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে দু’টি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রথমত, হংকং-এর বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত এখন থেকে চীনের সব ছাত্রকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে না।
এর পাশাপাশি আমেরিকা ও ব্রিটেন যৌথভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ জানিয়েছে, হংকং-এ একটি অত্যন্ত বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন জারি করতে চলেছে চীন।
শুক্রবার ট্রাম্প স্পষ্ট বলেন, “আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, হংকং-কে যেন আর বিশেষ মর্যাদা বা সুবিধা না দেওয়া হয়।” একইসঙ্গে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, চিনের কোনও ছাত্রের সঙ্গে যদি সেদেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক থাকে, তাকে যেন আমেরিকার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না করা হয়। তাঁর কথায়, “বছরের পর বছর চীনা গুপ্তচরেরা আমাদের বিভিন্ন শিল্পের গোপন তথ্য চুরি করছে।”
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, হংকং-এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি অন্যায্য আচরণ করেছে চীন। দীর্ঘকাল যাবৎ বিশ্বে ওই শহরটির একটি গৌরবের স্থান ছিল। কিন্তু ওই প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশটি চীনের হাতে আসার পর থেকে তার সেই স্থানটি নষ্ট হতে বসেছে। ট্রাম্পের কথায়, “এই ব্যাপারটি হংকং, চীন তথা সারা বিশ্বের কাছেই এক ট্র্যাজেডি।”
উল্লেখ্য, ট্রাম্প জানিয়েছেন আমেরিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে। কারণ করোনা সংকটে চীনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ওই সংস্থা।