করোনার জেরে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে ধাক্কা খাবে দেশ। এই ধাক্কা সামলাতে কী করা উচিত সরকারের? এ নিয়ে দেশ তথা বিশ্বের তাবড় তাবড় বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, রঘুরাম রাজনের পর এবার আরও দুই বিশ্ববন্দিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলেন তিনি। একজন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডঃ আশিস ঝাঁ। অপরজন সুইডেনের মহামারি বিশেষজ্ঞ ডঃ জোহান জিয়েস্কে। দুই বিশেষজ্ঞর সঙ্গে রাহুলের আলোচনার সারমর্ম একটাই, পরিকল্পিতভাবে ভারতের লকডাউন তুলতে হবে। এবং করোনা পরীক্ষার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
ডঃ আশিস ঝাঁ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে বলেন, ‘লকডাউনের মাধ্যমে আমরা এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়া থেকে রুখতে পারি। মানবজাতি আগে এই ধরনের ভাইরাস কখনও দেখেনি। সুতরাং আমাদের সবার মধ্যে এর সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে। লকডাউনের মাধ্যমে হয়তো ভাইরাস সংক্রমণের গতি কমানো যেতে পারে, কিন্তু এর ফলে বড়সড় অর্থনৈতিক মন্দা আসার সম্ভাবনা থাকছে। তাই এই লকডাউনের সময়ে প্রশাসনের উচিৎ আরও বেশি বেশি পরীক্ষা করার মতো পরিকাঠামো তৈরি করা। আগামী দিনে কেমন পরিস্থিতি হচ্ছে তার জন্য প্রস্তুত হওয়া। এখন অর্থনীতি চালু করতে হবে পরিকল্পিতভাবে। মানুষকে আরও আত্মবিশ্বাস দিতে হবে। অর্থনীতি চলে আত্মবিশ্বাসের ওপরই।’
কথোপকথনের মধ্যেই রাহুল অভিযোগ করেন, সরকার ইচ্ছে করেই কম পরীক্ষা করছে, যাতে আক্রান্তের সংখ্যাটা কম দেখানো হয়। জবাবে ডঃ ঝাঁ বলেন, ‘আমিও খানিকটা অবাক হয়েছি, কেন ভারত এত কম পরীক্ষা করছে? আমার যতদূর মনে হয় আরও বেশি করোনা পরীক্ষার মতো পরিকাঠামো ভারত সরকারের আছে।’ হার্ভার্ডের এই বিশেষজ্ঞের মতে, ‘আমরা মহামারির যুগে প্রবেশ করছি। আগামী দিনে আরও মহামারি আসছে। সুতরাং সরকারের উচিৎ সেইমতো পরিকাঠামো তৈরি করা।’ অন্যদিকে, সুইডেনের অধ্যাপক জোহান কংগ্রেস নেতাকে বলেন, করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এই রোগ খুব মারাত্মক কিছু নয়। ৯৯ শতাংশ মানুষ এর সংক্রমণ হলেও বুঝতেই পারছেন না। সুতরাং আমরা মহামারির যে রূপ দেখছি, সেটা মাত্র ১ শতাংশ।