পুলিশ তাঁদের বলেছিল, স্টেশনে গেলে বাড়ি ফেরার ট্রেন পাবেন। সেইমতো মুম্বই স্টেশনে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশ শ্রমিক। কিন্তু ট্রেন পাননি। বাধ্য হয়ে গত তিনদিন তাঁরা মুম্বইয়ের ওয়াডালা থানার কাছে ফুটপাথে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকের আশঙ্কা, তাঁরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। সারা দেশের মধ্যে মুম্বইতেই করোনা সংক্রমণের হার বেশি। এই অবস্থায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমে নতুন করে করোনা সংক্রমণের ভয় ছড়িয়েছে।
পরিযায়ীদের অনেকেই লকডাউনের সময় কাজ হারিয়েছেন। তাঁরা বাড়ি ফেরার ট্রেন পাবেন শুনে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে এসেছিলেন। পরে শুনেছেন, ট্রেন ক্যানসেল হয়েছে। এখন ভাড়া বাড়িতে ফিরে গেলেও তাঁরা থাকতে পারবেন না। ফলে ফুটপাথে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া তাঁদের গতি নেই।
অন্যদিকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও নিজেদের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করছেন ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা। আর তা করতে গিয়ে পায়ে হেঁটে যমুনা পেরিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তাও আবার রাতের অন্ধকারে।
প্রায় প্রতিদিন যমুনা নদীতে দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য। রাতের অন্ধকারে হেঁটে হরিয়ানা থেকে দিল্লীতে ঢুকছেন শ্রমিকরা। শুক্রবার রাতেও তা দেখা গিয়েছে। হরিয়ানার যমুনানগর থেকে নদী পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে এসেছেন শ্রমিকরা। সেখান থেকে যাবেন বিহার।
কিন্তু কেন এভাবে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন এই শ্রমিকরা। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা জানিয়েছেন, দিনের বেলা যাতায়াত করতে গেলে রোদের মধ্যে হাঁটতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে অনেক জায়গায় পুলিশ আটকাচ্ছে। কোথাও পুলিশের মারও খেতে হচ্ছে। তাই রাতেই হাঁটছেন তাঁরা। এতে হাঁটতে সুবিধা হচ্ছে। আবার চোখের আড়ালে নিজেদের রাজ্যে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে।