লকডাউন চলায় এখন তাঁদের অখন্ড অবসর। সেই অবসরেই খানিক আড্ডা দিতে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসেছিলেন বিরাট কোহলি ও সুনীল ছেত্রী। ভারতীয় ক্রিকেট ও ফুটবল দলের দুই অধিনায়ক মুখোমুখি হওয়ায় জমে উঠেছিল সন্ধে। করোনার চোখ রাঙানি ভুলে নানা মজাদার গল্পে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। তাঁদের ভিডিও চ্যাট থেকে মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা মজার কাহিনি জানতে পেরেছেন অনুরাগীরা। কিন্তু কয়েনের ঠিক উলটো পিঠের মতোই বিতর্ক মুক্ত রইল না তাঁদের চ্যাটিং। সুনীলের প্রতি এক নেটিজেনের বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
লকডাউনের মধ্যে প্রায় দু’মাস ধরে ঘরবন্দী অ্যাথলিটরা। যোগাযোগের মাধ্যম বলতে মোবাইল ফোন আর সোশ্যাল মিডিয়া। ভিডিও চ্যাটেই তাই একে অপরের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠছেন প্রায় প্রত্যেকেই। ব্যতিক্রমী নন তারকারাও। তাঁদের ভিডিও চ্যাটিং আবার গোপন থাকে না। প্রিয় খেলোয়াড়ের হাড়ির খবর জানতে সদা উৎসুক থাকেন অনুরাগীরা। তেমনই সুনীল ও কোহলির চ্যাটিংয়ে কী আলোচনা হয়, তা নিয়েও দারুণ আগ্রহী ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর তারই মধ্যে তাল কাটলেন এক নেটিজেন। যশ শর্মা নামের একটি প্রোফাইল থেকে সটান লেখা আসে, ‘এই নেপালিটি কে?’ দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এভাবে অপমান করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি দেশের বেশিরভাগ ক্রীড়াপ্রেমীরা।
সুনীলের পাশে দাঁড়িয়ে ওই নেটিজেনকে একহাত নেন অনুরাগীরা। দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতা তথা বর্তমানে সেরা ভারতীয় স্ট্রাইকারকে যে এধরনের মন্তব্য করা একেবারেই অনুচিত, তা কটাক্ষের সুরেই জানিয়েছেন প্রত্যেকে। একজন লেখেন, ‘কেউ সুনীল ছেত্রীকে না-ই চিনতে পারেন। তাই বলে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষদের এভাবে নেপালি-চিঙ্কি বলে সম্বোধন করার প্রবণতাটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।’ যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি সুনীল ছেত্রী নিজে।