আর ৫ দিন। আগামী শনিবারই ২ মাস পূর্ণ করবে দেশের লকডাউন। আর এই টানা দুই মাসের লকডাউনের জেরেই ভিন রাজ্যে আটকে কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার মত প্রত্যেকটি জেলাই নিজের রাজ্যের শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়ে এনেছে। তবে এবার এই শ্রমিক ফেরানোয় লাগাম টানল যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। হাজার চেষ্টা করেও মিলছে না রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি। বন্ধ করে রাখা হয়েছে সীমান্ত! তাই দীর্ঘ অপেক্ষার পরও মিলছে না সুরাহা।
গতকালই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত। অনুমতি নেই রাজ্যে প্রবেশের। অথচ বাড়ি ফেরার অদম্য চেষ্টায় কেউ হাঁটছেন দিনের পর দিন। কেউ বা সিমেন্টের মিক্সচার মেশিনে গা ঢাকা দিচ্ছেন বাড়ি ফেরার লক্ষ্যে। কিন্ত যদি সীমান্তই বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে কী উপায়? উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় রাজস্থানেই আটকে রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ৫০০টি বাস। রাজস্থানের পর্যটনমন্ত্রী ভিস্বেন্দ্র সিং বলেন, ‘লকডাউনের পর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই রাজ্যের মাঝে পৌছেও বাড়ি ফিরতে পারলেন না শ্রমিকেরা। রাজস্থানের ভরতপুরেই আটকে থাকতে হল তাঁদের।’
জানা যায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে দিতে গিয়ে গোটা একটি দিন সীমান্তের কাছে বাসগুলিকে অপেক্ষা করানো হয়। অবশেষে তা রাজস্থানে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখনও উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে মেলেনি পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর অনুমতি। পরে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে টুইটে দুঃখপ্রকাশ করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি টুইটে লেখেন, ‘এই রকমের আচরণ সত্যিই খুব দুঃখের। উত্তরপ্রদেশের সরকার রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাস প্রবেশে অনুমতি দিচ্ছেন না। ফলে ভিন রাজ্যের সরকার শ্রমিকদের ফেরাতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেও অন্যত্র আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। গোটা দিন ঠায় রোদে অপেক্ষার পর তা রাজ্যে ফিরিয়ে আনি। সেই সময় অভুক্ত, অসহায় মানুষদের দেখলে যে কারোর মায়া হবে।’
অন্যদিকে পরিযায়ীদের রাজ্যে ফেরাতে আজ সকালে ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। জানা যায় তিনিই শ্রমিকদের স্বার্থে হাজারটি বাসের ব্যবস্থা করেন। শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রথমে আগ্রহী হলেও কেন তিনি সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছেন তা অজানা। এমনকি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর টুইটেরও কোনও প্রত্যুত্তর দেননি তিনি।