মারণ ভাইরাসের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক। আর এই উম্পুন নামক ঘূর্নিঝড়ের গতিপথ বাংলার অভিমুখেই। তাই কোনওরকম ত্রুটি না রাখতে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস আসতেই প্রশাসনের তরফে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জেলায়। কাজে লাগছে গত বছরের বুলবুলের অভিজ্ঞতাও।
শনিবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা হয়েছে। মুখ্যসচিব বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজ্যে এই মুহূর্তে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাওয়া এমনিতেই নিষিদ্ধ। তা-ও নজর রাখা হচ্ছে। যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ফ্লাড সেন্টারের পাশাপাশি স্কুল, কলেজেও মানুষজনকে রাখার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব ঠিকঠাক ভাবে মানা যায়।’
দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও কলকাতার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কাজ সামলানোর মধ্যেও যাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতা মানা হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
ছ’মাসের মধ্যে আবার একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুন্দরবনও। প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসনও। শনিবার দুপুরে কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায়ের দফতরে বৈঠক ডাকা হয়েছে।