ভয়াবহ ঘটনা মোদীর রাজ্য গুজরাতে। বাসস্ট্যান্ডে গড়াগড়ি খাচ্ছে করোনা পজিটিভ ব্যক্তির মৃতদেহ। যার জেরে হাসপাতালের চূড়ান্ত গাফিলতির নিদর্শন ফুটে উঠল। আমেদাবাদের ঘটনা জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে গুজরাত সরকার। তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। কিন্তু কীভাবে একটা মৃতদেহ হাসপাতালের বাইরে পড়ে রইল তা নিয়ে সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছে।
জানা গিয়েছে, ৬৭ বছরের ওই ব্যক্তি আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গত ১০ মে। দুদিন বাদে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই ব্যক্তির ছেলে জানিয়েছেন, ‘১৫ মে আমাকে পুলিশ ফোন করে জানায় যে আমার বাবার মৃতদেহ দানিলিমদা ক্রসিংয়ের কাছে একটি বাসস্ট্যান্ডে পাওয়া গিয়েছে।’ হাসপাতালের ওএসডি ডা. এমএম প্রভাকর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘রোগীর মৃদু উপসর্গ ছিল। নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। গত ১৪ মে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তখন তিনি সুস্থই ছিলেন।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালের একটি বাসে তাঁকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাঁর বাড়ির কাছে রাস্তায় যানজটের কারণে তাঁকে কাছাকাছি একটি বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়া হয়।’কিন্তু ওই ব্যক্তির পরিবারকে না জানিয়েই তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমেছেন গুটরাতের বিরোধীরাও। জিগনেশ মেভানি মৃতদেহের ওই ছবি ট্যুইট করে লেখেন, ‘এ কী মারাত্মক দৃশ্য! যে ব্যক্তি ১০ তািরখ হাসপাতালে ভরতি হলেন করোনা নিয়ে, তাঁর দেহ রাস্তায় পাওয়া গেল! কী মর্মান্তিক! মিস্টার রূপানি পুরো ঘটনার দায় নিন। এটা অপরাধ!’ মেভানির ওই ট্যুইট দিয়ে বাংলার মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম লেখেন, ‘শিড়দাঁড়ায় ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দেওয়ার মতো ছবি। অন্যের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেদের জায়গাগুলো দেখুন বাবুল সুপ্রিয়, অমিত মালব্য, অর্জুন সিং, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।’