নামে ২০ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট। সরাসরি একটা টাকাও পাচ্ছেন না গরিব বা মধ্যবিত্তরা। এমনকী যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে এত কথা বলা হচ্ছে, তাঁদেরও সরাসরি পয়সা দিচ্ছে না সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের আর্থিক প্যাকেজ পুরোটাই ঋণসর্বস্ব। কিছু অর্থ সরকার খরচ করছে পরিকাঠামো খাতে। যার সুফল পেতে অনেক সময় লাগবে। লকডাউনের জেরে মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষের যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তাতে মলম লাগানোর কাজটি অর্থমন্ত্রী করতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্যাকেজ বরাদ্দে অখুশি বিরোধীরা। কংগ্রেস কটাক্ষ করে বলছে, নির্মলার প্যাকেজ শুধুই তেরোটা শূন্য। আর কিছু নয়।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলছেন, ‘একটা জিনিস স্পষ্ট। মোদীর ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ আসলে ‘জুমলা প্যাকেজে’ পরিণত হয়েছে। এটা শুধু ১৩ টা শূন্য ছাড়া আর কিছুই নয়।’ এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার বলছেন,’আত্মনির্ভর কৃষি প্যাকেজ দেখে হতাশ হয়েছি। লকডাউনে লোকসানের কথা মাথায় রেখে প্যাকেজ ঘোষণা করা উচিৎ ছিল। কৃষি ঋণ বা ঋণের সুদ নিয়ে কোনও কথাই নেই।’ সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলছেন, আবারও একটা মেগা ‘রিপ্যাকেজ’। সরকার করোনা পরবর্তী পরিস্থিতির কথা ভাবছে। করোনার জন্য যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, সেকথা ভাবছেই না।
বস্তুত, নির্মলার প্যাকেজে এখনও পর্যন্ত বাজারে জোগান বাড়ানোর জন্য বহু মানুষকে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হলেও, চাহিদা অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে সে অর্থে কিছুই বলা হয়নি। আজ অর্থাৎ শনিবার ফের সাংবাদিক বৈঠক করবেন অর্থমন্ত্রী। যদিও প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল, পরপর তিনদিন সাংবাদিক বৈঠক করে প্যাকেজ ঘোষণা করবেন তিনি। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও, আজ আবার নতুন কিছু ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী। শেষবেলায় নির্মলার ঝুলিতে কোনও চমক আছে কিনা, সেটা দেখার অপেক্ষায় গোটা দেশ।