রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। করোনা মোকাবিলায় বাজারে গিয়ে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বোঝানো থেকে শুরু করে লকডাউনের মধ্যে রাজ্যের কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে, সেজন্য রেশনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য প্রদান সবটাই দায়িত্ব নিয়ে করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি মমতার ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা রাজ্যের প্রায় পাঁচ লক্ষ শ্রমিককে এখনও পর্যন্ত সহায়তা বাবদ ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য।
এই প্রকল্পে এক হাজার টাকা করে সহায়তা পেতে জমা পড়া সাড়ে ন’লক্ষ আবেদনকারীর আবেদন পরীক্ষা করে প্রায় পাঁচ লক্ষ শ্রমিকের ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। আবার লকডাউনের জেরে কাজ হারানো রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের সহায়তার জন্যে প্রচেষ্টা প্রকল্পে ১০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। এই প্রকল্পে গতকাল ছিল আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।
অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা বাংলার মানুষদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য ১০০টির বেশি ট্রেনের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের টুইটারে এই ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পরপর দুটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘দেশের নানা প্রান্তে আটকে থাকা রাজ্যের নাগরিকদের ফেরানোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা ১০৫টি অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছি।’