কলকাতা পুলিশ এবং পুর প্রশাসন করোনা আক্রান্তের হিসেবে শহরকে রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন এই তিনটি জোনে ভাগ করেছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জেলা হিসেবে কলকাতাও রেড জোনের মধ্যেই পড়ে৷ বেলগাছিয়া বস্তিতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত ছিল পুর প্রশাসন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত সেখান থেকে নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হওয়ার খবর এলে আজ, শনিবার ওই এলাকা গ্রিন জোনে চলে যাবে বলে জানিয়েছেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
বর্তমানে কলকাতায় রেড জোনের সংখ্যা ২১৬। অরেঞ্জ জোন ৭০। গ্রিন জোনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৭। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয় পুর ভবনে। ওই বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ফিরহাদ জানান, কলকাতা পুর এলাকার বাসিন্দাদের জন্য নিউ টাউনে কোয়রান্টিন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আজ, শনিবার থেকে সেখানে কাউকে কোয়রান্টিনে পাঠানোর প্রয়োজন হলে তা করা যাবে। ওই কেন্দ্রে চিকিৎসা ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করবে পুরসভা।
প্রসঙ্গত, ১৩ মে পর্যন্ত কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১২৬। ওই দিন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছিলেন ৩৪১ জন। মারা গিয়েছিলেন ৮৮ জন। কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত্যু হয়েছিল আরও ৫২ জনের। আর অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৪৫।