পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে করোনা সন্দেহে প্রচুর রোগীকে জেলা হাসপাতালে-সহ বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে ভর্তি করতে হচ্ছে। তাই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে আসানসোল জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষার মেসিন বসানো হল।
ট্রুন্যাট’ নামক এই মেশিন সম্পর্কে জেলা হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রূপক চ্যাটার্জী জানান, কোনও রোগী কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত কিনা জানতে এখন আর চার পাঁচদিন কলকাতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ট্রুন্যাট মেশিনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারব করোনা আক্রান্ত কিনা। এক ঘণ্টায় দু’জন রোগীর সোয়াব পরীক্ষার পর পজেটিভ আসলে সেটা পরীক্ষার জন্য কলকাতা পাঠাতে হবে। নেগেটিভ রেজাল্ট আসলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করে রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই মেশিন বসাবার ফলে এই জেলার জনগণের সুবিধা হবে। তারা ভর্তি হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে জেনে যাবেন তারা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এখানে ভর্তি করার পর তাদের লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য কলকাতা পাঠাতে হচ্ছে। কলকাতা থেকে সেই রিপোর্ট আসতে পাঁচ থেকে ছয়দিন লেগে যাওয়াতে হয়রান হতে হচ্ছে রোগী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীদের। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় করোনা বা কোভিড-১৯ প্রাথমিক পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা না থাকার কারণে নেগেটিভ রোগীদেরও পজিটিভ রোগীদের সঙ্গে থাকতে হচ্ছে। সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে আসানসোল জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষার মেসিন বসানো হল।