বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আটকে থাকা ভারতীয়দের এদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা আগেই চালু করেছে কেন্দ্র। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্দে ভারত মিশন’। এর প্রথম ধাপে বিশ্বের ১২টি দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। প্রথম সাত দিনে যাঁদের ফেরানো হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই কেরল, তামিলনাড়ু এবং দিল্লীর বাসিন্দা। এই তিন রাজ্যে মোট ৩৭টি ফ্লাইট ঢুকছিল। এ ছাড়া, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানায় আসে ৭টি করে ফ্লাইট। গুজরাতে ৫টি, জম্মু ও কাশ্মীরে এবং কর্নাটকে তিনটি করে আর উত্তরপ্রদেশে একটি ফ্লাইট ঢোকে।
সূত্রের খবর, আগামী ১৬ তারিখ থেকে বন্দে ভারত মিশনের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হতে চলেছে। এই পর্যায়ে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার যে কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে, তাতে ৩৯টি দেশ থেকে ভারতীয়দের ফেরত আনা হবে। ২২ তারিখ অবধি এই পর্যায়ের মিশনে যাবে ১৩৯টি ফ্লাইট। এই পর্যায়ে দেশের ১৬টি রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরত আনা হবে। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে দিল্লি, কেরল, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। আর এই তালিকা প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। দেখা যাচ্ছে, প্রথম পর্যায়ের মত এবার দ্বিতীয় পর্যায়েও কেন্দ্রের এই উদ্যোগে জায়গা হয়নি কলকাতার।
এদিকে, বন্দে ভারত মিশনের অঙ্গ না হলেও পরের সপ্তাহ থেকে দেশীয় বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরে। সে জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। স্যানিটাইজেশনের কাজও চলছে। সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় মার্কিংয়ের কাজও শুরু হয়েছে দমদম বিমানবন্দরে। এই বিষয়ে বিমানবন্দরের এক কর্তা বলেন, ‘এই পর্যায়ের মিশনে আমেরিকা, আরব, কানাডা, সৌদি আরব, ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, ওমান, কাজাখস্তানের মতো দেশ থেকে বহু ভারতীয়দের ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে।’