ইস্টবেঙ্গল এই মরশুমে আইএসএল খেলবে। এখনও ইনভেস্টরের নাম না জানালেও, লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তারা শুরু থেকেই জোরাল দাবি জানিয়ে আসছেন। এবার সেই দাবি সমর্থন পেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে খেলানোর সুপারিশ নিয়ে এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেলকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগেই প্রফুল প্যাটেলের কাছে ফোন যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গলকে যাতে শামিল করা যায়, তা নিশ্চিত করতে এআইএফএফ সভাপতিকে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী অনুগ্রহ করে ফেডারেশনের সভাপতিকে ফোন করেছেন। এবং এই ইস্যুতে ওঁর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’ এই ফোনালাপের পরও লাল-হলুদ কর্তাদের ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, এআইএফএফ-এর নিয়ম মেনেই তাঁদের আইএসএলে খেলার জন্য আবেদন করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ক্লাবকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, নিয়মিত ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই ফেডারেশনকে একটি চিঠি লিখেছে ইস্টবেঙ্গল। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে, আইএসএলে সংযুক্তির বিষয়টি কতদূর এগিয়েছে এবং এর পরে কী করনীয়?
ভারতীয় ফুটবলের রোডম্যাপ নিয়ে এএফসির তরফে অনেক আগেই যা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ২০২৩-২৪ সালের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দল কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি না দিয়ে সরাসরি খেলতে পারবে আইএসএলে। তার আগে একমাত্র মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের কথা ভেবে এএফসি জানিয়েছে, ভারতীয় ফুটবলের প্রাচীন এই দুই ক্লাব যদি আইএসএল খেলার জন্য যাবতীয় শর্ত পূরণ করে, তাহলে সামনের মরশুমেই নিয়ে নেওয়া হবে। এভাবেই চলে এসেছে মোহনবাগান। এবার পালা ইস্টবেঙ্গলের। এফএসডিএলের মতো ফেডারেশন কর্তারাও অপেক্ষা করে আছেন, কবে নতুন ইনভেস্টরের নাম জানিয়ে আইএসএল খেলার আবেদন করবে ইস্টবেঙ্গল। এরই মধ্যে হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।