করোনা সংক্রমণ রোধ করতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে চলছে একটানা লকডাউন। সেই থেকেই অন্যান্য সব গণপরিবহন ব্যবস্থার মতো বন্ধ ছিল ট্রেনও। অবশেষে আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে রেলের বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। রেলমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা লক্ষ লক্ষ মানুষ। রেল সূত্রে খবর, এখনও বিশেষ ট্রেনগুলির জন্য এখনও পর্যন্ত ১৬ কোটির টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। ট্রেনগুলিতে সফর করবেন প্রায় ৮০ হাজার যাত্রী।
দীর্ঘদিনের লকডাউনের জেরে গণপরিবহণ বন্ধ থাকার পর আজ নয়াদিল্লী থেকে মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুর পর্যন্ত প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। সোমবার, এই ট্রেনগুলির জন্য অনলাইনে টিকিট বুকিং শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার রেল জানিয়েছে, আগামী সাতদিনে ১৫টি ট্রেনে ৪৫ হাজার ৫৩৩টি পিএনআর নম্বরের বিপরীতে ৮২ হাজার ৩১৭ জন যাত্রী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
তবে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে সফরের জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে রেল। নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার ৯০ মিনিট আগে যাত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যাত্রীদের খাবার ও চাদর-কম্বল ইত্যাদি নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সব যাত্রীর মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ সব মিলিয়ে আটটি যাত্রীবাহী বিশেষ ট্রেন যাত্রা শুরু করবে। এর মধ্যে তিনটি ট্রেন নয়াদিল্লী থেকে শুরু করে আসামের ডিব্রুগড়, মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুর ও কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু স্টেশন পর্যন্ত যাবে। এদিকে, হাওড়া, রাজেন্দ্রনগর (পাটনা), বেঙ্গালুরু, মুম্বই সেন্ট্রাল ও আহমেদাবাদ থেকে একটি করে ট্রেন নয়াদিল্লী পর্যন্ত যাবে। রেল জানিয়েছে, শুধুমাত্র কনফার্ম ই-টিকিট থাকলে এবং স্বাস্থ্যপরীক্ষায় উতরে গেলে তবেই যাত্রীদের ট্রেনে সওয়ার হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।