ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্তমানে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সেরকমই মানুষকে সচেতন করতে আরোগ্য সেতু অ্যাপ তৈরি করেছে সরকার। একাধিক ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক করাও হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক করে দেওয়া কি আইনি? এমনটা মনে করেন না সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিএন শ্রীকৃষ্ণ।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কীসের ভিত্তিতে এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হল? আপাতত তো এই রকম কোনও আইন পাশ হয়নি।’ গত ১ মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এক নির্দেশিকায় উল্লেখ করে, পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরে কর্মচারীদের ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক। কন্টেইনমেন্ট জোনেও যাতে এই অ্যাপের ১০০ শতাংশ কভারেজ থাকে সেই জন্য স্থানীয় প্রশাসনকেও নজর দিতে বলা হয়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের অধীনে এক্সিকিউটিভ কমিটি এই নির্দেশিকা তৈরি করে।
পাশাপাশি, নয়ডা পুলিশ নিয়ম জারি করে, ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলে ছয় মাসের জেল ও ১০০০ টাকা জরিমানা করা হবে। বিএন শ্রীকৃষ্ণ সেই বিষয়ে বলেন, ‘নয়ডা পুলিশের এই নিয়ম একেবারেই বেআইনি। ভারত এখনও গণতান্ত্রিক দেশ ও এই ধরণের আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে।’
প্রাক্তন সুপ্রিম বিচারপতির মতে কোনও একটি কমিটি নির্দেশিকা দিলেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা যাবে, এমনটা নয়। ‘জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারী আইন একটি সুনির্দিষ্ট কারণে তৈরি হয়েছিল। আমার মতে অন্তত এই ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি কোনও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নয়’। এমনটাই বলেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।