নামে বিশেষ প্যাসেঞ্জার হলেও ভাড়া প্রায় রাজধানী এক্সপ্রেসের কাছাকাছি। সম্পূর্ণ বাতানুকূল হওয়ায় নেই সেকেন্ড ক্লাস। লকডাউনের মধ্যে আজ ১৫টি রুটে যাত্রিবাহী এমনই বিশেষ ট্রেন চালু হচ্ছে। কিন্তু কেন শুধু এসি ট্রেন? কেন রাজধানীর ভাড়া? এই প্রশ্ন তুলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সরব হল কংগ্রেস ও বামেরা। কোন যুক্তিতে রুট বাছাই করা হয়েছে, সে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলও।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা গরিব মানুষজন, চিকিৎসা করাতে গিয়ে লকডাউনে আটকে সর্বস্বান্ত আমজনতা বাড়ি ফিরতে চাইছেন। সে জায়গায় যে ট্রেন চালানো হচ্ছে, তাতে আর্থিক ভাবে সবলরাই শুধু সওয়ার হতে পারবেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
রেল মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত সমাজের কোন অংশের মানুষের দিকে তাকিয়ে নেওয়া হয়েছে – সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের কথায়, ‘বাছাই করা রুটে শুধু এসি ট্রেন চালানো জনবিরোধী ও পয়সাওয়ালা লোকেদের দিকে তাকিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত। গরিব মানুষই সব থেকে বেশি ট্রেন ব্যবহার করেন। কিন্তু রেলের সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়, মোদী সরকার এই সঙ্কটেও সাধারণ মানুষকে কী চোখে দেখে।’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য অনেক মানুষ দক্ষিণের রাজ্যে গিয়ে আটকে রয়েছেন। সেই জায়গায় দেখছি দিল্লীর রুটে ট্রেন চালানো হবে। এই বিষয়গুলো স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া কোন কোন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে, তারও প্রচার প্রয়োজন।’
কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘এখন তো সেই মানুষরা সবার আগে ফিরতে চাইছেন যাঁরা লকডাউনের ফলে আটকে থেকে নিঃস্ব হয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নন-এসি ট্রেন চালালে কী ক্ষতি হত?’