তিনি যে খুন হতে পারেন, সে আশঙ্কা আগেই ব্যক্ত করেছিলেন তরুণ গবেষক বিং লিউ। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। বিং লিউ নামে ৩৭ বছর বয়সি ওই গবেষকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মার্কিন পুলিশের ধারণা, তিনি খুন হয়েছেন। ওই অ্যাপার্টমেন্টের সামনে আরও এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। ওই ব্যক্তিই গবেষককে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি তৃতীয় কোনও ব্যক্তি তাকে দিয়ে খুন করিয়ে, প্রমাণ লোপাটে দ্বিতীয় জনকেও নিকেশ করেছে, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। আবার করোনা গবেষকের আত্মহত্যার সম্ভাবনাও সম্পূর্ণ খারিজ করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রেও যদি-কিন্তু থাকছে। যদি আত্মহত্যাই করবেন, তা হলে দ্বিতীয় জনের গুলিবিদ্ধ দেহ এল কোথা থেকে? সবমিলিয়ে গবেষকের রহস্য-মৃত্যুর সূত্র সন্ধানে পুলিশ।
জানা গিয়েছে বিং লিউ নামের ওই গবেষক করোনাভাইরাস সম্পর্কিত এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। ওই বিজ্ঞানীর দেহ মিলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়ায়। কোন উদ্দেশে ওই বিজ্ঞানীকে খুন করা হল তা নিয়ে ধন্দে মার্কিন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, রোজ টাউনশিপে নিজের বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বিংকে। অ্যাপার্টমেন্টের সামনে পার্কিং করে রাখা একটি গাড়ির ভিতর থেকে আরও একজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪৬ বছর। নাম গাউ গু। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, বিংকে গুলি করে মেরে ফেলার পর গাউ নিজের গাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করে। গতিপ্রকৃতি দেখে পুলিশের ধারণা, বিংকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। কিন্তু, গাউ কেন গবেষককে মারবেন? পেশাগত শত্রুতায় কাউকে দিয়ে কেউ এ কাজ করিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে লিউয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বলা হয়েছে, লিউ ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান গবেষক। কঠোর পরিশ্রম করতেন তিনি। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে যুক্ত কোষীয় প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।