তাঁর নোবেল জয়ের পর পরই তাঁকে নিয়ে প্যারোডি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছিল। যে কারণে তাঁকে বিবৃতি দিয়ে বলতে হয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। এবার ফের একবার সোশ্যাল দুনিয়ায় ভাইরাল অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়ো টুইটার অ্যাকাউন্ট।
প্রসঙ্গত, করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত দুনিয়াতেও ঘাটতি নেই ফেক নিউজে। দুনিয়াজুড়ে বিভিন্ন আইটি সেল অ্যাক্টিভ ভুয়ো খবর ছড়াতে। তেমনই গতকাল, ৫ মে বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি খবর যে, অবশেষে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এতদিন তিনি টুইটারে ছিলেন না। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই মুহূর্তের মধ্যে ফলোয়ার বাড়তে শুরু করে স্ত্রী এস্থার ডুফলোর সঙ্গে অভিজিতের ছবি দেওয়া টুইটার অ্যাকাউন্টটিতে। তবে বুধবার সকালেই স্পষ্ট হয়ে গেল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের খোলা ওই টুইটার অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো! উনি কোনও টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলেননি।
কিন্তু নোবেল জয়ের এতদিন বাদে হঠাৎ এই মুহূর্তে তাঁর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হল কেন? এর পিছনে কি কোনও রাজনীতি রয়েছে? এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ বাংলায় করোনা মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকারের গঠন করা কমিটিতে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন অভিজিৎবাবু। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবারই সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারভিউয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোদী সরকার যথেষ্ট কাজ করছে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলার ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে একাংশ।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে তৃণমূলের তরফে এক সাংসদ টুইটারে লেখেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে জানাতে চাই, তিনি টুইটারে নেই এবং তাঁর নামে খোলা দুটি অ্যাকাউন্টই ভুয়ো। টুইটার কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অভিযোগও জানানো হয়েছে। একইভাবে অভিজিৎবাবুর সাম্প্রতিক বই ‘গুড ইকনোমিক্স ইন হার্ড টাইমস’-এর প্রকাশক জাগরনট বুকসের প্রতিষ্ঠাতা চিকি সরকারও নেটিজেনদের কাছে নোবেলজয়ীর নাম করে জানান, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিয়েছেন যে তাঁর নামে টুইটারে খোলা অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো।