লকডাউনের জেরে এবার চরম বিপর্যয়ের মুখে দেশের পর্যটন শিল্প। জানা গেছে, বিগত ২ মাসে ১০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের পর্যটন শিল্প। এমনটাই আশঙ্কা করছে ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশনস ইন ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি (ফেইথ)। দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ আসে পর্যটন শিল্প থেকে। রাজকোষে অন্তত ২০ লক্ষ কোটি টাকার জোগান দেয় এই শিল্প। এমনটাই জানিয়েছে ফেইথ।
লকডাউনের জেরে এখন ধুঁকছে এই শিল্প। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী আরও ছ’মাস এই ধারা অব্যহত থাকবে। মার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান হয়ে গিয়েছে দেশের পর্যটন শিল্পে। সম্প্রতি ছয় সদস্যের আন্তঃমন্ত্রক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ফেইথ। সেই বৈঠকেই সরকারকে এবিষয়ে জানিয়েছে তারা। একদিকে করোনা আতঙ্ক। কাছেপিঠে ঘুরতে যেতেও সাহস পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে লকডাউন। বন্ধ হোটেল, রেস্তোরাঁ। বিমান, রেল সহ সড়কপথেও পরিবহন ব্যবস্থা থমকে গিয়েছে। ফেইথ জানিয়েছে, ‘লকডাউনের জেরে বিদেশের মানুষ এদেশে ঘুরতে আসতে পারছে না। দেশের মানুষও বাইরে যেতে পারছেন না। পর্যটন শিল্পের জোগান শৃঙ্খলেই ছেদ পড়েছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্প। প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান হতে পারে এভাবে লকডাউন চলতে থাকলে।’
গত ছ’মাস ধরে লকডাউন চলার পর এখন ধীরে ধীরে তা শিথিল করার পথে হাঁটছে চীন। পর্যটন শিল্পের কথা মাথায় রেখেই ঘরোয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে চীন প্রশাসন। ফেইথের বক্তব্য, ভারতকে ঠিক এই পথেই হাঁটতে হবে। পাশাপাশি দেশের পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করে তুলতে জোগান শৃঙ্খলের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। ফেইথের পক্ষ থেকে নীতি আয়োগকে জানানো হয়েছে, পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলি যাতে কর্মীদের বেতন দিয়ে টিকে থাকতে পারে, তার জন্য কোম্পানিগুলিকে বিনা সুদে ১০ বছরের জন্য অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হোক। পাশাপাশি অন্তত আগামী ১২ মাস যেন কোম্পানিগুলিকে ঋণের টাকা মেটানোর জন্য চাপ না দেওয়া হয়, আবেদন ফেইথের।