স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী , একমাত্র কোন চিকিৎসক বা হাসপাতালে তরফ থেকে লিখে দেওয়া না হলে কোন ব্যক্তির করো না পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন ছাড়া কোন পরীক্ষাগার বা ক্লিনিক করোনা পরীক্ষা করতে পারবে না। কিন্তু খোদ কলকাতায় রমরম করে চলছিল ভুয়ো করোনা পরীক্ষা।
কাঁকুড়গাছি অঞ্চলে ত্রিবেণী ক্লিনিক অবৈধভাবে করোনা পরীক্ষা করছিল। এক নাগরিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তার সত্যতা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তদন্তের ভিত্তিতে দেখা যায়, এই ক্লিনিকটির কোনও সরকারি অনুমোদন নেই।
তদন্তে দেখা গেছে এই ক্লিনিকে যে সমস্ত করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই রিপোর্ট নেগেটিভ দেওয়া হয়। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানান, “ই ধরনের রিপোর্টে বড়সড় সমস্যা হতে পারে। কোনো করোনা পজিটিভ ব্যক্তির যদি নেগেটিভ রিপোর্ট আসে, তবে আর রক্ষা নেই। নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে সংক্রমিত ব্যক্তি ঘুরে বেড়ালে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এই ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।”
সাধারণ মানুষের সম্পূর্ন আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে এই বেসরকারি ক্লিনিক করোনা পরীক্ষা করার ব্যবসা রমরম করে চালাচ্ছিল। স্বাস্থ্য দফতর তড়িঘড়ি এই ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দেয়।