রাজস্থানের কোটায় পড়তে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্থ দেশজুড়ে হঠাৎই লকডাউন জারি হওয়ায় ভিনরাজ্যে আটকে পড়তে হয় তাঁদের। সমস্যায় পড়ে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী। তবে রাজ্য সরকার কথা দিয়েছিল তাঁদের ফিরিয়ে আনবে। কথা রাখল সরকার। বাসে চড়ে বাংলায় ফিরল রাজস্থানের কোটায় পড়তে যাওয়া একদল পড়ুয়া। বিপদের দিনে সরকারের সাহায্য পেয়ে আপ্লুত তাঁরা। সাবধানে বাড়ি ফিরতে পারায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সেই ছাত্রছাত্রীরা।
শুক্রবার আসানসোলের ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুডি চেকপোস্টে বাসগুলি এসে দাঁড়ায়। তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পুলিশ কর্তারা। কুলটির চৌরঙ্গি মোড়ে একটি রিসর্টে ভিন জেলার পড়ুয়াদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক নিজে সকল পড়ুয়ার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। ভিনজেলার পড়ুয়াদের জেলাভিত্তিক বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বাংলায় ঢুকতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সবাই। এই উদ্যোগের জন্য সকল পড়ুয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদজ্ঞাপনও করেন।
বারাকপুরের রুদ্রনীল বিশ্বাস, সাগর বিশ্বাস এবং কলকাতার শুভম সাউও বাড়ি ফিরছে। তাঁরা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশেষ ধন্যবাদ। তাঁর আশীর্বাদেই বাড়ি ফিরতে পারছি। ১৫০০ কিলোমিটার পেরিয়ে বাসে করে ফিরছি। মুখ্যমন্ত্রী এভাবে পাশে না দাঁড়ালে বাড়ি ফিরতে পারতাম না। মেস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। খাবার জুটছিল না। কীভবে বাড়ি ফিরবো তা ভাবতেই ভয় লাগছিল। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেদিন আশ্বাস দিলেন সেদিন বুকে বল এসেছিল।’
প্রশাসনের তরফে ঠিক কেমন ব্যবস্থা করা হয়েছিল? ভিনরাজ্যে আটকে পড়া পড়ুয়াদের দাবি, ‘এলাহি আয়োজন করেছে প্রশাসন। কোনও অসুবিধা হয়নি। এভাবে এত নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারবো তা ভাবতেই পারিনি।’ কোটায় আটকে পড়া রুদ্রনীল বিশ্বাসের মা স্বপ্না বিশ্বাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যিই মায়ের মতো তাই এই ব্যবস্থা তিনি করেছেন। আর প্রশাসনের সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ তাদের এই পরিশ্রমের জন্য। আজ বুঝতে পারছি বাংলার প্রশাসন যথেষ্ট মানবিক।’