করোনা আতঙ্কের মধ্যেও ধর্ষণের নৃশংসতা দেখল মধ্যপ্রদেশ। ১৮ বছরের এক তরুণীর উপর রাতভর নির্যাতন চালাল সাতজন। মারধর করে ক্ষতবিক্ষত করা হল তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে সাত অভিযুক্তের মধ্যে তিনজন নাবালক।
বুধবার রাতে বেতুল জেলায় ঘটে এই ঘটনা। মোটরসাইকেলে চেপে বোনকে নিয়ে ফিরছিলেন মেয়েটির ২১ বছরের দাদা। বেতুলের পুলিশসুপার ডিএস ভাদোরিয়া জানিয়েছেন, রাত ৮টা নাগাদ পাধারে পেট্রল ভরার জন্য নেমেছিলেন দুই ভাই-বোন। সেখান থেকেই তাঁদের অনুসরণ করা শুরু করে দুষ্কৃতীরা। সাত জন মিলে ভাইবোনকে তাড়া করে নিয়ে গিয়ে একটি ফাঁকা জায়গায় তাঁদের পথ আটকায়।
মেয়েটির অভিযোগ, তার দাদাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি সাহায্য চেয়ে চিত্কার করছিলেন। কিন্তু লকডাউনের ফাঁকা রাস্তায় তাঁর ডাক কারও কাছে পৌঁছয়নি। এরপর তাঁকে টানতে টানতে একটি কুয়োর কাছে নিয়ে গিয়ে সেখানে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর কাছের একটি জঙ্গলে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে চারঘণ্টা ধরে চলে গণধর্ষণ।
নির্যাতিতা বলেছেন, দুষ্কৃতীদের কবল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে কোনও রকম টলতে টলতে গিয়ে তিনি ভাইকে কুয়ো থেকে টেনে তোলেন। তাঁর অবস্থাও ছিল গুরুতর। দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাঁচজন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের নাম শুভম বেলে (২২) ও সন্দীপ খাটিয়া (২৩)। তিন নাবালকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এখনও দু’জনের খোঁজ মেলেনি। তারা গ্রামেরই কোথাও লুকিয়ে আছে বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৬৫ (অপহরণ) ও ৩০৭ (খুনের চেষ্টা)ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।