গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিচ্ছিল। তাই ফিরোজাবাদের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আট দিন ধরে ছিলেন ওম প্রকাশ। আট দিন আগে তাঁর করোনা পরীক্ষা হলেও তার ফল বেরোতে দেরি হয়। তাঁর করোনাভাইরাস হয়েছে কি হয়নি, তা জানতে আট দিন ধরে অপেক্ষা করেছিলেন। এই মানসিক উদ্বেগ শেষ অবধি আর সহ্য করতে পারলেন না তিনি।
শেষে বুধবার সকালে আত্মঘাতী হলেন ৫৯ বছরের রেলকর্মী ওম প্রকাশ। পরে তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। মনে করা হচ্ছে, পরীক্ষার ফল কি হবে সেই উদ্বেগেই তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। একটি সুইসাইড নোট লিখে গেলেও সেখানে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের এক রোগী জানান যে সেখানে মেডিক্যাল পরিষেবা খুবই খারাপ। এক ঘরে অনেককে একসঙ্গে রাখা হয়। খাওয়ার জন্য জলও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। দিন কয়েক আগে ওম প্রকাশ পেট ব্যথা করছে বলে জানালেও কোনও ওষুধ তাঁকে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় মুখ পুড়েছে যোগী সরকারের।