করোনার থাবায় থরহরিকম্প গোটা ভারত। এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘমেয়াদি চলছে দেশজোড়া লকডাউন। যার জেরে একদিকে যেমন খেতে পাচ্ছে না দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষেরা, তেমনি তৈরি হয়েছে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা। সব মিলিয়ে বেজায় সঙ্কটে ভারতীয় অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে নাকি নিজের জন্য প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার বিলাসবহুল বিমান আনাচ্ছেন মোদী!
এত দিন বোয়িং ৭৪৭ বিমানে বিদেশ সফরে যেতেন ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানরা। যার তালিকায় ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। মূলত এই তিন জনই বিদেশ সফরে যাওয়ার জন্য এই উন্নত প্রযুক্তির বিমান ব্যবহার করতেন। কিন্তু খুব শীঘ্র বোয়িং ৭৪৭-এর জায়গা নিতে আসছে বোয়িং ৭৭৭। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাই মাসেই ফ্লোরিডার হেডকোয়ার্টার থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বিমানটি। দুটো বোয়িং ৭৭৭ বিমান কিনছে ভারত। যার জন্য খরচ হচ্ছে ৮ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা!
এই এয়ারক্র্যাফ্ট-এ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে। যার ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমানের মতোই সুরক্ষিত থাকবে এই বিমান। অন্যদিকে, এই প্রথম কোনও ভারতীয় বিমানে সেল্ফ প্রোটেকশন স্যুট থাকছে। যা শত্রুপক্ষের র্যাডারকে অনায়াসে জ্যাম করে দেবে এবং হিট সিকিং মিসাইলকে দূরে সরিয়ে রাখবে এই ব্যবস্থা। বিমানের লার্জ এয়ারক্র্যাফ্ট ইনফ্রারেড কাউন্টারমেজার সিস্টেম (এলএআইআরসিএম)-ও রয়েছে। বড় এয়ারক্র্যাফ্টগুলোকে মিসাইল থেকে রক্ষা করে এই বিশেষ প্রযুক্তি।
শুধু তাই নয়। এই বিমান চালানোর জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। আগে যে বিমান ব্যবহার করতেন ভারতীয় রাষ্ট্রপ্রধানরা তার জন্য বায়ুসেনার পাইলট থাকতেন না। এছাড়াও এতে রয়েছে একটি কনফারেন্স রুম। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য রয়েছে পেসেন্ট ট্রান্সপোর্ট ইউনিট। রয়েছে অন বোর্ড ওয়াইফাই সিস্টেম। এবং দু’হাজারেরও বেশি জনের জন্য খাবার সংগ্রহ করে রাখতে সক্ষম এই বিমান। এই মহামারীর সময়ে মোদীর জন্য এ হেন বিলাসবহুল বিমান আমদানিতে স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্টি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।