লকডাউনের ধাক্কায় সঙ্কটে শিল্প সংস্থাগুলি। এই পরিস্থিতিতে আয় অন্তত ৩০ শতাংশ হ্রাস পেলে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড সেরা ১০০টি কোম্পানির মধ্যে ২৭টি তাদের কর্মীদের বেতন ভার বহন করতে পারবে না। বহুজাতিক সংস্থা ডিলয়িট্টি-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে। আর এই সমস্ত সংস্থায় কর্মীদের বেতন ছাঁটাই একপ্রকার প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিটি স্তরে সাধারণভাবে চাহিদা হ্রাস পাবে বলে ডিলয়িট্টি তার পূর্বাভাসে জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে কর্মীদের বেতন দেওয়া যায়, সেই সক্ষমতা প্রতিটি সংস্থাকে তৈরি করে নিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা। বাজার মূল্যের নিরিখে এনএসই-তে নথিভুক্ত সেরা ১০০টি সংস্থার উপরে এই সমীক্ষা করেছে তারা।
করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। যার ফলে ব্যবসা ও কলকারখানা বন্ধ। স্তব্ধ উড়ান ও ট্রেন চলাচল। এছাড়া জনগণ ও পণ্য চলাচলের উপরেও বিধিনিষেধ আছে। যার ফলে চাহিদা কমেছে। এক ধাক্কায় আয় কমেছে বহু সংস্থার।
করোনা সংক্রমণ রুখতে আগামী ৩ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে শুধুমাত্র এপ্রিল মাসে ৯.৮ লক্ষ কোটি টাকার জিভিএ ক্ষতি হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া লকডাউনের ফলে চলতি ২০২১ আর্থিক বছরে দেশের সামগ্রিকভাবে ১২.১ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে এসবিআই ইকোর্যাপ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।