করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর কাছে চিকিৎসার করাতে আসা এক রোগী। আর তারপরই তাঁর নার্সিংহোম সিল করে দিয়েছে পুলিশে। কিন্তু এতদিনেও কোয়ারেন্টাইনে যাননি তিনি। বরং শ্বশুরবাড়ির গ্রামে এসে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আড্ডা মারছেন, এর ওর বাড়ি যাচ্ছেন। তবে এবার ওই খবর সামনে আসতেই গ্রামের স্বনামধন্য জামাই বাবাজিকে মারতেই শুধু বাকি রেখেছে ক্ষুব্ধ জনতা। এই অবস্থায় গ্রামবাসীদের ক্ষোভ প্রশমনে নামতে হল পুলিশকে। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর মহকুমার সবং থানার বুরাল গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উদ্ধবপুর গ্ৰাম।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর শহরের তমলুকে একটি নার্সিংহোম রয়েছে ওই চিকিৎসকের। সেখানেই তাঁর কাছে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন এক মহিলা। পরে জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ পজেটিভ। এর পরে পরেই সেই নার্সিংহোম সিল করে দেয় পুলিশ। আর তাঁকে বলা হয় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে। কিন্তু তা তো তিনি করেননি, উপরন্তু পরিবার নিয়ে নিজের শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন ওই চিকিৎসক। নিজে একবারও কাউকে জানাননি যে তাঁর নার্সিংহোমে কী কী কাণ্ড ঘটেছে।
কিন্তু সম্প্রতি উদ্ধবপুর গ্ৰামের এক ব্যক্তি যে ঘটনাটি জানতো সে গ্রামের অনেককেই বিষয়টি জানায় ও কী বিপদ গ্রামে হতে পারে সেটাও তাঁদের জানায়। এরপরেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসীরা। তাঁর শ্বশুরবাড়ি ঘিরে ধরে শুরু হয় বিক্ষোভ। খবর পেয়ে গ্রামে আসে পুলিশ। তারপরেই গ্রামবাসীরা দাবি তোলেন ওই চিকিৎসককে অন্য জায়গায় সরাতে হবে আর তাঁর পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে। পুলিশ ওই চিকিৎসক ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ওই চিকিৎসকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।