শুধু বাংলাতেই নয়, মোদী সরকারের নিযুক্ত রাজ্যপালেরা বিরোধী দলগুলির শাসিত সব রাজ্যেই অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে কপিল সিব্বল বলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশ, গোয়া, কর্নাটকের মতো রাজ্যেও আমরা রাজ্যপালের ভূমিকা দেখেছি। এঁরা নিজেদের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে রাজ্য সরকারে অস্থিরতা তৈরি করতে চান।’ কলকাতাতেও এ বিষয়ে সরব হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতারা।
কংগ্রেসের নেতাদের অভিযোগ, বাংলার পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারীও কেন্দ্রের রাজনীতির ঘুঁটি হিসেবে কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ছ’মাস অর্থাৎ ২৮ মে-র মধ্যে বিধানসভায় বা বিধান পরিষদে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে উদ্ধব ঠাকরেকে। তাঁকে রাজ্যপালের কোটা থেকে বিধান পরিষদে মনোনীত করার জন্য মন্ত্রিসভা প্রস্তাব পাঠিয়েছে। কিন্তু রাজ্যপাল সেই প্রস্তাবে অনুমোদন না-দিয়ে, বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী করোনা-মোকাবিলায় ব্যস্ত। রাজ্যপাল অকারণে অনিশ্চয়তা তৈরি করছেন।
সিব্বল বলেন, ‘এই কারণেই আমি বাংলার রাজ্যপালের ভূমিকায় একেবারেই অবাক হইনি।’ কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, অতীতেও কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যে মোদী সরকারের নিযুক্ত রাজ্যপালেরা সরকার ফেলায় ভূমিকা নিয়েছেন। গোয়া, মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্বেও কংগ্রেস যাতে সরকার গড়তে না-পারে, তার জন্য রাজ্যপালকে কাজে লাগানো হয়েছে। আদালতও রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
করোনা-মোকাবিলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর দাবি, বাংলায় রাজ্যপাল রাজনীতি করছেন। মমতাকে সমর্থন জানিয়ে পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেসের ভি নারায়ণস্বামীও সেখানকার উপরাজ্যপাল কিরণ বেদীর ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জানান। তাতে অবশ্য সমস্যা মেটেনি। উল্টে মমতার সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিবাদ আরও চরমে উঠেছে। সিব্বলের কটাক্ষ, ‘এই সব রাজ্যপালেরা আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচারের কাজ করেন।’