ওসিকে আক্রমণ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২২। সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে একজন বিজেপির সক্রিয় কর্মী। পরিকল্পনা মাফিকই ত্রাণ নিয়ে বুধবারের এই বিক্ষোভ-অবরোধ, এমনটাই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।
বুধবার রাতেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাম দাস নামে এক সক্রিয় বিজেপি কর্মী। যাকে একাধিকবার বিজেপির মিটিং-মিছিলে জেলা নেতৃত্বদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। বারবার ত্রাণ বিলি নিয়ে অসন্তোষের পিছনে বিজেপির যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে শাসকদল। এদিনের ঘটনার পর একই অভিযোগে সরব শাসকদলের নেতা -কর্মীরা। তবে কী সত্যিই এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
লকডাউনের পর থেকেই বারবার ত্রাণের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, হাসনাবাদের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। থালা হাতে রাস্তাও নামেন তাঁরা। বুধবার সেই ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে আক্রমণ করা হয় পুলিশ কর্মীকে। জনতার হামলায় মাথা ফাটে বাদুড়িয়া থানার ওসি বাপ্পা মিত্রের। জখম হন আরও ৪ জন পুলিশ কর্মী। এরপরই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নামানো হয় ব়্যাফ। পুলিশি কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় মহিলা-সহ বেশ কয়েকজনকে।