লকডাউন শেষ হওয়ার অনেক আগেই করোনা হটস্পট এলাকায় রেলের দফতর গুলিতে কর্মীদের কাজে ডেকে পাঠানোয় ক্ষুব্ধ কর্মী সংগঠন। এই বিষয়ে হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, “যাতায়াতের সুবিধা আছে, বয়স কম ও স্বাস্থ্য ভাল এমন কর্মীদের কাজে আসতে বলার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো হাজির হচ্ছেন কর্মীরা। তবে কোনও ক্ষেত্রে হাজিরা ৩৩ শতাংশের বেশি যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।”
এদিকে, যেহেতু হাওড়া ঘোষিত করোনা হটস্পট, ফলে রেলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মেনস ইউনিয়ন। তারা এই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে লকডাউন চলাকালীন শিয়ালদহতে এমন অনুপস্থিতি থাকবে বলে অফিসারদের মত। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সদর কার্যালায়গুলিতে হাজিরার সংখ্যা দু’দিন ধরেই একেবারে নগন্য। তবে খড়গপুর ডিভিশনে সোমবার ১০ থেকে ২০ শতাংশ হাজিরা ছিল বিভিন্ন বিভাগে।
পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সধারন সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, রেল বোর্ডের নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, হটস্পট এলাকাগুলির কর্মীদের কাজে আসতে বলা যাবে না। কলকাতা ও হাওড়া হটস্পট, এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়াও প্রভাবিত। ফলে ওই অঞ্চলে রেল সদর, বিভাগীয় সদর ও ওয়ার্কশপগুলিতে কাজ করতে আসা কর্মীরা নিরাপদে থাকবেন না। ইউনিয়নের দাবীর পর হাওড়াতে কর্মীদের ডেকে পাঠানোয় চরম ক্ষুব্ধ অমিত ঘোষ বলেন, হাওড়ার সিনিয়র ডিপিও মোবাইলে কর্মীদের ডেকে পাঠাচ্ছেন।