একেই লকডাউন। চারদিক স্তব্ধ। আবার হটস্পটে বাস বলে কথা! এদিকে প্রসব যন্ত্রণায় স্ত্রীর শরীর ততক্ষণে শক্ত হয়ে গিয়েছে। বাইরে বেরিয়ে পুলিশকে গোটা পরিস্থিতির কথা জানালেও অভিযোগ, মেলেনি এলাকা থেকে বেরনোর অনুমতি। বাধ্য হয়ে ঘরেই সন্তান প্রসব হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিসা না পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের।
ঝাড়খণ্ডের হিন্দপিরিতে রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। প্রসূতির স্বামী মহম্মদ ইমতিয়াজের বলেন, “গত রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তড়িঘড়ি আমি একটি গাড়ি জোগাড় করি। আমার এক বন্ধুও সঙ্গে ছিল। ছোট্টা তালাবের কাছে পুলিশ আমাদের গাড়ি থামায়। আমরা পুলিশকে গোটা ঘটনা জানাই। তবে পুলিশ আমাদের এলাকা ছেড়ে বেরনোর অনুমতি দেয়নি। তারপর আমরা বাড়ি ফিরে যাই। এলাকার কয়েকজন মহিলাকে ডাকি। তাঁদের সাহায্যে ঘরের সন্তানের জন্ম দেন আমার স্ত্রী। কিন্তু তারা আমাদের সন্তানকে বাঁচাতে পারেনি।”
এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। এই ঘটনার প্রসঙ্গে কোতয়ালির ডিএসপি অজিত কুমার বিমল বলেন, “আমরা প্রসূতির স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। তা পরীক্ষা করে আমরা বুঝতে পেরেছি কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পুলিশ তাদের যেতে বাধা দেয়নি। তাঁকে বলা হয়েছিল স্থানীয় গুরু নানক স্কুলের সামনের রাস্তা দিয়ে বেরতে। তবে প্রসূতির স্বামী বুঝতে পারেননি হয়তো। তাই তিনি বাড়ি ফিরে যান।”