করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে একের পর এক ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচেয়ে বেশি। আর এহেন সময়েই নজির গড়লেন এক চিকিৎসক। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই চিকিৎসক নিজের জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করে চলেছেন সন্তোষী মানিকপুরী।
সন্তোষী বলেছেন, সংক্রমণের সন্দেহে আসা রোগীদের আতঙ্ক অনেক বেশি। তাঁদের ঠিকমতো বোঝানোর দরকার হয়। টেস্ট করাতে বলা হয়। গ্রামের অনেক মহিলাই আসেন হাসপাতালে, তাঁদের বোঝানোর জন্য মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী হলে অনেক সুবিধা হয়। আতঙ্কিতরা মনে সাহস পান।
ছত্তীসগড়ের বাসিন্দা। কোন্ডাগাঁওয়ের কেরাওয়াহি গ্রামে রয়েছেন স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। গ্রাম থেকেই অনেক দূরে এক সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সন্তোষী। বলেছেন, বাড়ি যাওয়া সম্ভব হয়না অনেকদিনই। হাসপাতালেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। রোগীদের পরীক্ষা করানো, নমুনা সংগ্রহ করা, সেই নমুনা টেস্টের জন্য পাঠানো, রিপোর্ট এলে স্বাস্থ্যদফতরে পাঠানো সব কাজই করছেন নিয়ম মেনেই। করোনা রোগীরা ছাড়াও অন্যান্য রোগীদেরও দেখাশোনা চলছে।
“দেশের জন্য কাজ করছি, মানুষের সেবা করছি, আমি গর্বিত। পরিশ্রম বা ক্লান্তির কথা ভাবছি না, আমি আমার কাজে খুব খুশি,” বলেছেন অন্তঃসত্ত্বা তরুণী। স্বামী ও গোটা পরিবার পাশে আছে, বলেছেন সন্তোষী। তাঁরাও উৎসাহিত করছেন সর্বক্ষণ।
করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে একের পর এক ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচেয়ে বেশি। সন্তোষী বলেছেন, ঝুঁকির কারণে পিছিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বহু মানুষ সঙ্কটে রয়েছে, এই সময় তাঁদের প্রাণ বাঁচানোই উদ্দেশ্য সন্তোষীর। নিজের সন্তানের সুরক্ষার চিন্তাও আছে, তবে কর্তব্যই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য।