আজ থেকে বাংলায় শুরু হল র্যাপিড টেস্ট। র্যাপিড টেস্টের জন্যে কেন্দ্রের কাছে ৫০ হাজার কিট চেয়েছিল রাজ্য। পাওয়া গিয়েছে মাত্র ১০ হাজার। আপাতত ওই কিট ব্যবহার করেই টেস্ট শুরু হচ্ছে। তবে আতঙ্ক যাতে না ছড়ায় সে কথা মাথায় রেখে, যাঁর র্যাপিড টেস্ট হবে, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষার ফল জানানো হবে না, জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আজ উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া বস্তি এলাকা থেকেই র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু হল রাজ্যে। এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা সেখানে গিয়ে বাসিন্দাদের নমুনা সংগ্রহে নেমেছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিয়ে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-র বাসিন্দাদের র্যাপিড টেস্ট করতে পারবে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই ভাবে বিভিন্ন জেলার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য দফতর নির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছে, কোন হাসপাতালগুলি এই টেস্ট করতে পারবে। ২৮টি জেলার ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ র্যাপিড পরীক্ষা করবে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছিলেন, “দুপুর ১২টা থেকে বেলগাছিয়া বস্তিতে শুরু হচ্ছে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট।” সেই মতো প্রস্তুতি নিয়ে এ দিন ময়দানে নামেন চিকিৎসকরা। শুরু হয় র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় আরও বেশি করে পরীক্ষার উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কোভিড-১৯ পরীক্ষার পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টও করতে উদ্যোগী রয়েছে স্বাস্থ্যভবন।