কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস সত্ত্বেও ব্যারাকপুরে বেশ কিছু জুটমিলে সোমবার থেকে কাজ শুরু হয়নি। ঠিকাদারের কথামতো এদিন সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কয়েকটা মিলের শ্রমিকরা দেখেন কারখানার দরজা বন্ধ। বহুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ঠিকাদার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কিছুই জানানো হয়নি।
১৫ শতাংশ কর্মী কাজ করবেন জুটমিলগুলিতে। কেন্দ্রের এই নির্দেশ মেনে নিতে নারাজ শ্রমিকরা। এর সঙ্গে একমত নয় মালিকপক্ষও। তাঁদের দাবি, এত কম শ্রমিক নিয়ে চটকলের কাজ করা অসম্ভব। এতে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা বাড়বে। তাছাড়া কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে লকডাউনের সময় সবেতন ছুটি দিতে হবে বলেও দাবি তোলেন শ্রমিকরা। আর এই দাবিতে হুগলীর গ্যাঞ্জেস জুটমিলের সামনে রবিবার বাম-ডান শ্রমিক সংগঠন নির্বিশেষে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করে তাঁদের একাংশ। পরে মগরা থানার পুলিশ গিয়ে অনশন তুলে দেয়।
সোমবার সকালে বাঁশবেড়িয়ার এই জুটমিলটি খোলেনি। কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা মিল খোলার জন্য কোনও কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা হাতে পাননি। একই অবস্থা বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মিলগুলিতেও। সেখানেও সকাল সকাল কাজে গিয়ে শ্রমিকরা দেখেন, গেট বন্ধ। কোনও নোটিস নেই। কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করার পর তাঁরা কার্যত নিরাশ হয়ে ফিরে যান। কেন্দ্রীয় নির্দেশ সত্ত্বেও দিনের প্রথমার্ধ্বে এ রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রের ছবিটা অন্তত কোনও আশা দেখাতে পারল না।