মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস জেলায় স্থানীয় রাস্তাঘাট পরিষ্কার করতে গিয়ে জনতার হাতে রীতিমতো গণধোলাই খেলেন কয়েকজন সাফাই কর্মী। সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হল উত্তেজিত জনতা যখন ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন সেই সময়েই তাঁদের মধ্যে একজন একটি কুঠার নিয়েও মারতে যান এক সাফাইকর্মীকে।কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর হাতটি মারাত্মকভাবে জখম হয়। বর্তমানে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশে প্রথম নয়, কয়েক সপ্তাহ আগেও ওই রাজ্যে আক্রান্ত হন কিছু স্বাস্থ্যকর্মী ও পুরকর্মী, তাঁদের অপরাধ স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা খতিয়ে দেখতে যান। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই রকম ঘটনার সাক্ষী হলেন সাফাই কর্মীরা। তাঁদের উপর হামলার প্রায় পুরো অংশটিই সংবাদমাধ্যমের ক্য়ামেরায় ধরা পড়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে সাফাইকর্মীদের রীতিমতো ঘেরাও করে লাঠি নিয়ে বেধড়ক গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে। হাতাহাতির মধ্যে একজন সাফাই কর্মীর তো জামাকাপড় পর্যন্ত ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। আপাতত হামলার মূল অভিযুক্ত আদিল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু মারধরের ঘটনায় যোগ দেওয়া তাঁর ভাই পালিয়ে গেছে।
এইপ্রসঙ্গে পুলিশকর্তা সৃজন সিং জানান, ‘পুর কর্পোরেশনের সাফাই কর্মীরা কয়লা মহল্লায় কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করেই আদিল দীপক ও তাঁর দলবল একটি কুঠার দিয়ে তাঁদের উপর হামলা করে। কুঠারের কোপ আটকানোর চেষ্টা করলে মারাত্মকভাবে আহত হন এক সাফাই কর্মী। তাঁকে চিকিৎসকরা দেওয়াসের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আমরা হত্যার চেষ্টা এবং এসসি/এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের আওতায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করেছি।’
মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালেও একদল লোক লকডাউনের সময় রাস্তায় টহল দেওয়া এক পুলিশ কনস্টেবলকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।