করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা দেশজুড়ে চলছে একটানা লকডাউন। ইতিমধ্যেই যার ২১ দিনের প্রথম দফা পেরিয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফা। আর তার ওপর বিশ্ব ব্যাঙ্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছে, লকডাউন চলাকালীন ভিনরাজ্যের শ্রমিকেরা ঘরে ফিরলে ভারতের সমস্ত প্রান্তে দাবানলের মতো করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর ফলে এখনও একই ভাবে অসহায় ভাবে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভিন রাজ্য থেকে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিকের দল। একদিন খাবার জোটে তো তিন দিন জোটে না। করোনা এদের কী মারবে? এরা তো এমনিই এক একজন জিন্দা লাশ।
এই মুহূর্তে যমুনার ধারে সেতুর নীচে গা ঘেঁসাঘেঁসি করে বসে আছেন কয়েকশো শ্রমিক। এদের অনেকেরই গায়ে ধূম জ্বর, রয়েছে সর্দি-কাশিও। কিন্তু কোথায় এদের করোনা পরীক্ষা হবে? খাবার জোগাবেই বা কে? যদিও দিল্লী সরকার ঘোষণা করেছিল, লকডাউনের সময় কোনও মানুষ অভুক্ত অবস্থায় থাকবেন না। যাঁদের রেশন কার্ড নেই, নিখরচায় রেশনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে তাঁদেরও। দেওয়া হবে ৪ কেজি ময়দা, ১ কেজি চাল। তবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
কিন্তু অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন ধরে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে ঢুকে অনলাইনে আবেদন করতেই পারেননি অনেকে। বরং লক্ষ করেছেন স্ক্রিনে লেখা ‘সার্ভার আন্ডার হেভি লোড! প্লিজ চেক আফটার সামটাইম।’ যদিও এখন সচল হয়েছে ওয়েবসাইটটি। প্রশ্ন উঠছে দিল্লী সরকারের অব্যবস্থা নিয়েও। প্রশ্ন উঠছে, যাঁদের অক্ষরজ্ঞান সামান্য, তাঁরা কীভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন? যেখানে সাইবার কাফেগুলিও বন্ধ। এদিকে অনলাইন আবেদনে ভোটার কার্ডের স্ক্যান কপি, পরিবারের সদস্যদের আধার নম্বর, ছবি জমা করতেই হবে।