বিশেষজ্ঞরা এর আগে থেকেই বলে আসছিলেন, উপসর্গ না থাকলেও যে কেউ করোনা আক্রান্ত হতেই পারেন। তাই তাঁরা নাগাড়ে কোভিড-১৯ টেস্টের পরামর্শ দিচ্ছেন। এই কথাটা যে একেবারেই খাঁটি, তার প্রমাণ মিলল বাংলাতেই। এদিন তেঘড়িয়ার চার্নক হাসপাতালের এক চিকিৎসকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে চমকে গিয়েছেন ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আক্রান্ত চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠরা। কিন্তু কেন? জানা গেছে, ওই চিকিৎসকের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মতো কোনও উপসর্গই ছিল না। একেবারেই স্বাভাবিক ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর শরীরেই কিনা কোভিড-১৯ পজিটিভ!
জানা গিয়েছে, তেঘড়িয়ার সেই বেসরকারি হাসপাতালে এক কিডনি রোগীর শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছিল। ওই রোগীর ডায়ালিসিস চলছিল সেখানে। পরে দেখা যায়, তাঁর পর ডায়ালিসিস হওয়া অন্য বেশ কয়েক জন রোগীও করোনা পজিটিভ হয়ে গিয়েছেন। এরপরই হাসপাতালের বহু কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পাশাপাশি জীবাণুমক্ত করার কাজও শুরু হয়। রবিবার হাসপাতালের তরফে এক মুখপাত্র জানান, এর জন্য নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ সাময়িক বন্ধ থাকছে। অর্থাৎ এক অর্থে বন্ধই রাখা হয়েছে হাসপাতাল।