লকডাউনের মধ্যেই দেশের রাজধানীতে সমাজকর্মী ও ছাত্রনেতাদের যথেচ্ছ হয়রানি ও গ্রেফতার করছে পুলিশ, এমনই অভিযােগ উঠেছে। নাগরিক সমাজের সদস্য, ধর্মীয় নেতা এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই অভিযােগ জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাঁরা সমাজকর্মী ও ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও সমাজকর্মীরা লকডাউন চলাকালীন নেতাকর্মীদের হয়রানি করা এবং নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লােকদের লক্ষ্য করা থেকে বিরত থাকতে দিল্লী পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন।
তাঁদের চিঠিতে লেখা হয়েছে, গােটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারত বর্তমানে এক নজিরবিহীন স্বাস্থ্য সঙ্কট এবং করােনা ভাইরাস-জনিত মহামারি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। করােনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী লড়াই করতে এবং লকডাউন কার্যকর করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সরকার এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সাথে সহযােগিতা করছি, যার লক্ষ্য ভাইরাসের বিস্তার রোধ করা। আমাদের মধ্যে অনেকে এই কঠিন সময়ে বিনা খরচে খাদ্য ও আশ্রয় দিয়ে আটকে পড়া শ্রমিক ও সমাজের দরিদ্র শ্রেণির জন্য জরুরি সহায়তা সরবরাহে নিযুক্ত রয়েছেন। তবে আমাদের নজরে এসেছে যে লকডাউন প্রক্রিয়া চলাকালীন দিল্লী পুলিশ একতরফাভাবে সমাজকর্মী ও ছাত্রনেতাদের আটক ও গ্রেফতার করা অব্যাহত রেখেছে।
অমিত শাহকে লেখা এই চিঠিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন, তার মধ্যে আছেন মৌলানা তৌকির রাজা, সভাপতি- মিলি ইত্তেহাদ পরিষদ, মিঃ উদিত রাস্ত্র (প্রাক্তন এমপি) , ডা. জাফরুল ইসলাম খান, চেয়ারম্যান- সংখ্যালঘু কমিশন-দিল্লী, মিঃ সৈয়দ সাদতুল্লাহ হোসাইনি, আমির- জামায়াতে ইসলামি হিন্দ, মিঃ রবি নায়ার, সভাপতি- এসএইচআরডিসি, মাওলানা আসগর আলি সালাফি, ডা. মনজুর আলম, চেয়ারম্যান- আইওএস, মাওলানা সৈয়দ তানভীর হাশমি, সভাপতি-আহলে সুন্নাত ওয়ালজামাত-কর্ণাটক, মিঃ প্রশান্ত ট্যান্ডন সহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।