সাক্ষাৎ মৃত্যদূত করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত ২৫ মার্চ থেকে গোটা দেশে জারি হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন। যা আরও বাড়তে পড়ে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে সমস্ত কলকারখানা, বন্ধ সব শিল্পোৎপাদন। কবে উঠবে লকডাউন, কবে কাটবে এই গৃহবন্দী দশা সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছে শিল্পমহল। তবে পুনরায় তাঁদের কারখানা খুলে দেওয়া হোক, সেই আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা সরকারের কাছে। যেসব জেলা উৎপাদনশীল, সেখানে অল্প সংখ্যক শ্রমিকদের রেখে সীমিতভাবেই চালু হোক ইউনিটগুলি, এমন আর্জিই ভেসে আসছে বারবার।
দেশে যখন করোনার প্রকোপ বাড়ছে তখন কীভাবে সম্ভব হবে এই কাজ? শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তবেই তাঁদের কাজে বহাল করা হবে এবং আলাদা আলাদা ব্যাচেই করা হবে এই পরীক্ষা। এমনকি ইউনিট মালিকেরা জানিয়েছেন যে কারখানার চত্বরে আলাদাভাবেই রাখা হবে শ্রমিকদের। খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেবেন তাঁরাই। এমনি তাঁরা যাতে সেই ইউনিটে সামাজিক দূরত্ব মেনেই থাকেন তা ও নিশ্চিত করবেন মালিকেরা।
এদিকে সবচেয়ে বেশি করোনা সঙ্কটে রয়েছে মহারাষ্ট্র। কিন্তু পুণেতে বাজাজ অটোর কারখানা খুলতে মরিয়া সেই ইউনিটের মালিকেরা। পুণেতে বাজাজের নেই কারখানাটিতে বছরে কয়েক লক্ষ গাড়ি তৈরি হত। শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ হাজার ৫০০ জন। সেখানে এই অবস্থায় বন্ধ সব উৎপাদন। যাতে আংশিকভাবে খোলা সম্ভব হয় এই কারখানা তাঁরই আর্জি জানান হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের সরকারের কাছে। যদিও শ্রমিকদের করোনা স্ক্রিনিং টেস্ট, খাদ্য, বাসস্থান-সব দায়িত্ব নেবেন মালিকেরা, এমনটাই জানান হয়েছে তাঁদের তরফে।