সারা দেশ জুড়ে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো কার্যত এখন সময়ের অপেক্ষা। শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর স্পষ্ট কমপক্ষে আরও ১৫ দিন লকডাউনের সময়সীমা বাড়তে চলেছে। আজ-কালের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।
নর্থব্লক সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সারা দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সিংহভাগই লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই সায় দিয়েছেন। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার পর্যালোচনা করে দেখেছে এখন দেশের যা অবস্থা তাতে এই লকডাউন কমপক্ষে আরও ১৫ দিন বাড়াতেই হবে। তা না হলে করোনা সংক্রমণ দাবানলের মতই ছড়াবে।
ইতিমধ্যেই ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যে দিয়ে চলছে দেশ। এরপর যদি আরও ১৫-১৬ দিনের লকডাউন ঘোষণা হয় তাহলে দেশ টানা ৩৬-৩৭ দিনের লকডাউনে থাকবে। যদিও হু-সহ বিশেষজ্ঞদের মতামত কমপক্ষে ৪৫ দিন লকডাউন করলে তবেই ফল পাওয়া যাবে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের একাংশের যুক্তি, ভারতের মতো দেশে ৩৬-৩৭ দিনের লকডাউনই যথেষ্ট। আপাতত মানুষকে বিচ্ছিন্ন করা গিয়েছে। এবার চিহ্নিতকরণ ও নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ক্লাস্টার বা হটস্পট বেছে নিয়ে সেখানে আরও একমাস কড়া লকডাউন করতে হবে। সেই কারণেই ২ সপ্তাহ বাড়াবার সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে বৈঠকে পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ২ সপ্তাহ লকডাউন বাড়িয়েছেন। এটা একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত। তারপরেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে।
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, বাংলা, দিল্লী, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যই এই মডেল নিয়েছে। এতে সংক্রমণ যেমন কমানো যাবে, তেমনি করোনা রোগীও দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, শনি কিংবা রবিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সকলের সঙ্গে আলোচনা করে ফের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। অপেক্ষা এখন সেই সময়ের।