করোনা ভাইরাসের ত্রাসে বিশ্বজুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। সমস্ত খেলাধুলা বন্ধ। পিছিয়ে গিয়েছে একাধিক বড় টুর্নামেন্ট। পিছিয়ে গিয়েছে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিকও। যার জন্য হতাশ বিশ্বের ক্রীড়াবিদরা। তবে টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় সুবিধাই হয়েছে জিমনাস্ট দীপা কর্মকারের।
২০১৭ সালে হাঁটুতে অস্ত্রপচার হওয়ার পর থেকেই চেনা ছন্দে পাওয়া যাচ্ছিল না দীপাকে। সেই চোট বারবার ভুগিয়েছে দীপাকে। চোট সারিয়ে ২০১৮ সালে কামব্যাক করেন দীপা। তুরস্কে আর্টিস্টিক জিমনাস্টিক ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপে সোনা জেতার পর দীপাকে নিয়ে ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন ভারতবাসী। কিন্তু তার পরেই হাঁটুর চোট ফের ফিরে আসে।
মার্চের বদলে এই দুটি বিশ্বকাপ হবে জুন মাসে। কিন্তু করোনাভাইরাস যেভাবে একের পর এক বিশ্বজুড়ে থাবা বসাচ্ছে তাতে জুনেও বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যার ফলে প্রস্তুতির জন্য হাতে বেশ খানিকটা সময় পেয়ে যাবেন দীপা। টোকিও অলিম্পিকে যোগ্যতাঅর্জন করতে দুটি বিশ্বকাপ থেকে কমপক্ষে দুটি রুপো কিংবা একটা সোনা এবং একটি রুপো জিততেই হবে দীপাকে।
বর্তমানে একেবারে চোটমুক্ত বছর ২৬-এর এই জিমন্যাস্ট। প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন দীপা। তবে ছন্দে ফিরতে এখনও তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে দীপার। এই সুযোগটাক পুরোমাত্রায় কাজে লাগাতে চান দীপা এবং তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী।