লকডাউন পরিস্থিতিতে রেলের সম্পত্তি যথাযথ ভাবে আছে কিনা তাতে নজরদারি করতে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ড্রোনের। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল গোটা দেশজুড়ে বন্ধ হয়েছে। শুধুমাত্র রেলের কর্মী এবং আধিকারিকদের কাজের জন্য বিশেষ ট্রেন চলছে। আর চলছে পণ্যবাহী ট্রেন। যদিও এই গোটা রেলওয়ে অপারেশন চলছে মাত্র অল্প কয়েকজনকে দিয়েই। তাই নজরদারি প্রয়োজন।
ইতিমধ্যেই ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি শুরু করে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেলের বাকি ডিভিশনগুলিও এই পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে। ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানান, “যে উচ্চতা থেকে ড্রোন ওড়ানো হচ্ছে তাতে সবটাই নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে। কোনও কিছু নজরে আসলে আমরা আর পি এফের কন্ট্রোল রুমে জানিয়ে দিচ্ছি।”
পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন তাদের জোনেও একাধিক ডিভিশন আছে যেগুলিতে এই লকডাউন পরিস্থিতিতে সারাক্ষণ ধরে নজরদারি করা সম্ভব নয়। এখন অত্যন্ত কম কর্মী দিয়েই সমস্ত কাজ করানো হচ্ছে। পায়ে হেঁটে এখন এতটা পথ দেখা সম্ভব নয় তাই ড্রোনে ওড়ানো অন্যতম পন্থা বলে মত রেল আধিকারিকদের। হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদা, আদ্রা, খড়গপুর, রাঁচি সহ একাধিক ডিভিশনে রেল রক্ষী বাহিনী তারা যেমন স্টেশনে নজরদারি করছেন ঠিক তেমনি সম্পত্তি দেখভালের কাজও করছেন।