এবার হাসপাতালে মারণ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হলেন স্বয়ং স্বাস্থ্য আধিকারিক। সূত্রের খবর, হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপারকে এম আর বাঙুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে সোয়াব টেস্টে পাঠানো হলে, সেই টেস্টের রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। সুপারের পরিবারের সদস্যদের ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তাঁর সংস্পর্শে আসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছেন জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরেরও বেশ কয়েকজন। সূত্রের আরও খবর, এই সংখ্যাটা কমবেশি ২০০।
গত সোমবার হাওড়া হাসপাতালের সুপার জানিয়েছিলেন, জেলা হাসপাতালে কোনও করোনা রোগীকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাও। এই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা কাউকে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে সন্দেহ হলে, তাঁদের সত্যবালা আইডি হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। কারণ, সেখানেই আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। হাওড়া হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করা সত্ত্বেও সুপারের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় হাসপাতালেরই আরেক আধিকারিক তাঁকে এম আর বাঙুরে এনে ভর্তি করান।
সূত্রের খবর, হাওড়া জেলা হাসপাতালে এর আগে ভর্তি ছিলেন সালকিয়ার এক মহিলা। তাঁর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছে। তিনি জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার চিকিৎসা চলাকালীন সুপার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এছাড়া জেলা হাসপাতালের নার্স, ডাক্তার-সহ ৩০ জনকে ডুমুরজোলা স্টেডিয়ামে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই সেন্টারও পরিদর্শন করেছিলেন সুপার। সেখান থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।