করোনা মোকাবিলায় বাংলার পুলিশ দুর্দান্ত কাজ করছে। না, এবার আর রাজ্যের কোনও বাসিন্দা নয়, সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে এল এ হেন প্রশংসা সূচক বার্তা। করোনায় বেসামাল গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড ১৯ থাবায় সবথেকে জবুথবু নিউইয়র্ক। মঙ্গলবার পর্যন্ত আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত প্রায় ৩.৬ লাখ। মৃত্যু মিছিল কোনোভাবে থামতেই চাইছে না। সেই মার্কিন মুলুকের পুলিশ রাজ্য পুলিশকে প্রশংসাপত্র পাঠালো বুধবার। বিধাননগর পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করে বার্তা পাঠালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কোভিড ১৯ অপারেশন প্রধান।
জানা গিয়েছে, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন টেক্সাসের সাইবার ক্রাইম ও কোভিড অপারেশন প্রধান কে সান্যাল। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় যেভাবে বয়স্কদের যত্ন সহকারে খেয়াল রেখে চলেছে বিধাননগর পুলিশ তার প্রশংসা জানাতে ভোলেনি মার্কিন মুলুকের পুলিশ। তাঁর বার্তায় কে সান্যাল আরও লিখেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে করোনায় এখন সঙ্কটময় পরিস্থিতি, আমরা অর্থাৎ আইন রক্ষার দায়িত্ব যাদের কাঁধে সেই পুলিশ সেরাটা দিয়ে তা মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ এমন ধন্যবাদ বার্তা পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনার এল এন মিনা। সিপি জানান, ‘হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পেয়েছি টেক্সাস সাইবার ক্রাইম ও কোভিড অপারেশন প্রধানের থেকে আজ সকালে।’
এতদিন করোনা মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশের কাজের প্রশংসা ছিলো রাজ্যবাসীর মধ্যেই। লকডাউনে মানুষকে গৃহবন্দী রাখতে পুলিশের পদক্ষেপ চোখে পড়ার মতনই। বিধাননগর পুলিশের শুধু ৭ এপ্রিলের কিছু কাজ দেখলেই বিষয়টা আরও পরিস্কার হয়ে যায়। ৩৯১১ পরিবার কে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া। ১১০০ মানুষের মুখে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা। বিধান নগর কমিশনারেট এলাকায় প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে মুদিখানা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও অন্যান্য বাজার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। ডায়ালিসিস প্রয়োজন এমন এক রোগিণীকে পুলিশের গাড়ি যথাস্থানে পৌঁছে দেয় দ্রুত। এমনকী রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের জোগান স্বাভাবিক করতে নিয়মিত রক্তদান বিধাননগর পুলিশ কর্মীদের এখন অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে।