হটস্পটের আওতায় ঢুকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিল করে দেওয়া হল দিল্লীর বিখ্যাত বাঙালি বাজার। ওই বাজারের দোকানের তিনজন কর্মী কোভিড–১৯ পজিটিভ। এদিন সকালে পুলিশ একথা ঘোষণা করে সতর্ক করেছে এই বলে যে, আইন ভেঙে কেউ দোকান খুললে তাঁর কড়া শাস্তি হবে। গ্রাহকরা যদি কিছু কিনতে চান তাহলে তাঁরা ফোনে জানালে তাঁদের বাড়ির দরজায় সেই ফরমায়েশ পৌঁছে দেওয়া হবে। আরও কেউ কোনও দোকানে লুকিয়ে আছেন কিনা তা খুঁজে দেখছে পুলিশ।
বাজারের একটা জনপ্রিয় বাঙালি প্যাস্ট্রির দোকানের ছাদের মাথা থেকে ৩৫জন কর্মীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়ে পুলিশ বলেছে ওই কর্মীদের মধ্যেই দুজন করোনা–আক্রান্ত। প্যাস্ট্রি দোকানের মালিকপক্ষ বিবৃতি পাল্টা দাবি করেছে, লকডাউন ঘোষণার দিন গত ২৫ মার্চ থেকেই তাঁদের দোকান বন্ধ। ওই কর্মীরা বাজারের বিভিন্ন দোকানে কাজ করেন। তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারেননি বলে তাঁদের শুধু ওইখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই কর্মীদের স্বাস্থ্যকর এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশেই রাখা হয়েছে। খাবার, জল এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রীও দেওয়া হয়েছে। দোকানের মালিকপক্ষ পুলিশের বিরুদ্ধে মানহানি, ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তির অভিযোগ করেছে।
দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নির্দেশ দিয়েছেন সব সরকারি অফিসকে তাদের যাবতীয় খরচ থামিয়ে শুধু কর্মীদের বেতন এবং করোনা–ত্রাণের জন্যই ব্যয় করতে হবে। রাজস্ব দপ্তর থেকে অনুমতি পেলে তবেই লকডাউনের খরচের ভর্তুকি মিলবে।