বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে মনচিনির হাতে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেয় ইতালি। তার পর থেকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তারা, জিতেছে সব ম্যাচই। ইউরোর যোগ্যতা অর্জন র্টুনামেন্টে তারা অপরাজিত। জিতেছে টানা ১১ ম্যাচ। মানচিনি মনে করছেন ইউরো পিছিয়ে যাওয়াতে সুবিধাই হল তাদের।
করোনাভাইরাসে তাঁদের দেশ সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত। তবু আশায় রয়েছেন জাতীয় দলের কোচ এবং প্রাক্তন তারকা ফুটবলার রবের্তো মানচিনি। ইউরো ২০২০ পিছিয়ে যাওয়ায় সুবিধে পেতে পারে ইতালি বলে তাঁর মনে হচ্ছে। একই সঙ্গে অবশ্য তিনি মনে করেন, টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে।
মানচিনি বলেছেন, ‘‘জুনে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ খেললে আমাদের ভাল কিছু করার প্রবল সম্ভাবনা থাকতই। তবে সে ক্ষেত্রে আমাদের অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সব দলের বিরুদ্ধেও খেলতে হত। যেমন ফ্রান্স। কিন্তু অতিরিক্ত এক বছর সময় পাওয়ায় আমার ছেলেরা আরও উন্নতি করার সুযোগ পাবে। সেই সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতাও বাড়িয়ে নেবে। এটা অবশ্যই একটা বাড়তি সুবিধে।’’ যোগ করেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের যা শক্তি তাতে ইতালি বিশ্বের যে কোনও শক্তিশালী দলের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে। ইটালি প্রথম ইউরোপ-সেরা হয়েছিল ১৯৬৮-তে। আশা করি আমিও এক জন চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ হয়ে উঠতে পারব।’’